শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের নিহতদের মধ্যে ৭ জনই একই পরিবারের। দুর্ঘটনায় আরও দুই জনসহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- বর রুবেলের বাবা আব্দুর রশিদ বেপারী (৭০), বোন লিজা (২৪), ভাগনি তাবাসসুম (৬) ও অপর ভাগনি রেনু (১২), ফুপা কেরামত বেপারী (৭০), ভাইয়ের ছেলে তাহসান (৪), বড় ভাই সোহেলের স্ত্রী রুনা খান (২৪), তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। বরের প্রতিবেশী মফিজুল মোল্লা (৬৫) ও মাইক্রোবাস চালক বিল্লাল (৪০)। দুর্ঘটনায় প্রাথমিক ১০ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও পরে তা কমে ৯ জন নিশ্চিত করা হয়েছে।
শ্রীনগর ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক শাহ আলম নিহতদের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডে মাওয়াগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে স্বাধীন পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষ হয়।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন দুর্ঘটনাস্থলে, দুই জন ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও এক জন ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে মারা যান। গুরুতর আহত আছে আরও তিনজন।
হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আব্দুল বাসেদ জানান, মাওয়াগামী স্বাধীন পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসের উপরে গিয়ে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসের আরোহীরা সবাই আত্মীয়-স্বজন ছিল। তারা লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক শাহ আলম জানান, আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আহত আরও ১০ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম আরও বলেন, ঢাকায় নেওয়া আহত চারজনের মধ্যে দুইজন নয়, একজন মারা গেছেন। তার নাম রুনা (২৪)। তিনি বরের বড় ভাই সোহেলের স্ত্রী। এছাড়া আহত জাহাঙ্গীর মারা যাননি। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দাফন ও যাতায়াত ভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।